Header Ads

 আস্সালামু আলাইকু,ওয়া রাহমাতুল্লা। প্রিয় বন্ধু "মাসিক আল-আকসা" পত্রিকাটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। নিয়মিত ভিজিট করুন, মাসিক আল-আকসার সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

Breaking News

কুরআন তেলাওয়াতের ফযিলত।

কুরআন তেলাওয়াতের ফযিলত।

লেখকঃ আজিজুল হাকিম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

کَمَاۤ اَرۡسَلۡنَا فِیۡکُمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡکُمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡکُمۡ اٰیٰتِنَا وَیُزَکِّیۡکُمۡ وَیُعَلِّمُکُمُ الۡکِتٰبَ وَالۡحِکۡمَۃَ وَیُعَلِّمُکُمۡ مَّا لَمۡ تَکُوۡنُوۡا تَعۡلَمُوۡنَ ؕۛ

(আল বাকারা-১৫১)
যেমন, আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।


মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর পবিত্র কুরআনুল কারীম নাযিল করেছেন। এই কেতাব দীর্ঘ ২৩ বছর পর্যন্ত রাসূল সাঃ এর উপর নাযিল হয়েছে। তিনি সেই কিতাব দিয়ে তৎকালীন লোকদেরকে হেদায়েতের পথে আনতে পেরেছিলেন। এটি হচ্ছে, রাসূল সাঃ এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা। কেয়ামত পর্যন্ত এই মোজেজা অক্ষত থাকবে।

পবিত্র কুরআনের প্রথম নাযিলকৃত পাঁচটি আয়াতঃ

اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ ۚ
اِقۡرَاۡ وَرَبُّکَ الۡاَکۡرَمُ ۙ
الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ
عَلَّمَ الۡاِنۡسَانَ مَا لَمۡ یَعۡلَمۡ ؕ

অর্থঃ পড় তােমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্ত দ্বারা। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না।

আল আলাকঃ ১, ২, ৩, ৪, ৫

পবিত্র কুরআন যথাযথভাবে তেলাওয়াত করতে হবে এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

اَلَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰہُمُ الۡکِتٰبَ یَتۡلُوۡنَہٗ حَقَّ تِلَاوَتِہٖ ؕ  اُولٰٓئِکَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ ؕ  وَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِہٖ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ

(আল বাকারা-১২১)
আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।

وَکَیۡفَ تَکۡفُرُوۡنَ وَاَنۡتُمۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ اٰیٰتُ اللّٰہِ وَفِیۡکُمۡ رَسُوۡلُہٗ ؕ  وَمَنۡ یَّعۡتَصِمۡ بِاللّٰہِ فَقَدۡ ہُدِیَ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ

(আল ইমরান-১০১)
আর তোমরা কেমন করে কাফের হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল পথের।

تِلۡکَ اٰیٰتُ اللّٰہِ نَتۡلُوۡہَا عَلَیۡکَ بِالۡحَقِّ ؕ وَمَا اللّٰہُ یُرِیۡدُ ظُلۡمًا لِّلۡعٰلَمِیۡنَ

(আল ইমরান-১০৮)
এইগুলি আল্লাহ্ র আয়াত, তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। আল্লাহ্ বিশ্বজগতের প্রতি জুলুম করতে চান না।

وَاِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ وَاَنۡصِتُوۡا لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ

(আল আরাফ-২০৪)
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।

اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ وَاِذَا تُلِیَتۡ عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُہٗ زَادَتۡہُمۡ اِیۡمَانًا وَّعَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ۚۖ

(আল আনফাল-২)
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে।

فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ

(আন নাহল-৯৮)
সুতরাং আপনি যখন কুরআন পড়বেন , তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করবেন ।

وَقُرۡاٰنًا فَرَقۡنٰہُ لِتَقۡرَاَہٗ عَلَی النَّاسِ عَلٰی مُکۡثٍ وَّنَزَّلۡنٰہُ تَنۡزِیۡلًا

(বনী-ইসরাঈল-১০৬)
আমি কুরআনকে আলাদা আলাদা অংশ করে দিয়েছি , যাতে তুমি তা মানুষের সামনে থেমে থেমে পড়তে পার আর আমি এটা নাযিল করেছি অল্প-অল্প করে।

قُلۡ اٰمِنُوۡا بِہٖۤ اَوۡ لَا تُؤۡمِنُوۡا ؕ  اِنَّ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ مِنۡ قَبۡلِہٖۤ اِذَا یُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ یَخِرُّوۡنَ لِلۡاَذۡقَانِ سُجَّدًا ۙ

(বনী-ইসরাঈল-১০৭)
বলুনঃ তোমরা কোরআনকে মান্য কর অথবা অমান্য কর; যারা এর পূর্ব থেকে এলেম প্রাপ্ত হয়েছে, যখন তাদের কাছে এর তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা নতমস্তকে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে।

وَاتۡلُ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ مِنۡ کِتَابِ رَبِّکَ ۚؕ لَا مُبَدِّلَ لِکَلِمٰتِہٖ ۚ۟ وَلَنۡ تَجِدَ مِنۡ دُوۡنِہٖ مُلۡتَحَدًا

(আল কাহাফ-২৭)
( হে নবী ! ) তােমার কাছে তােমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে ওহী পাঠানাে হয়েছে , তা পড়ে শােনাও । এমন কেউ নেই যে তার বাণী পরিবর্তন করতে পারে এবং তুমি তাকে ছাড়া অন্য কোনও আশ্রয়স্থল পাবে না কখনই ।

وَاِذَا یُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِہٖۤ اِنَّہُ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّنَاۤ اِنَّا کُنَّا مِنۡ قَبۡلِہٖ مُسۡلِمِیۡنَ

(আল কাসাস-৫৩)
তাদেরকে যখন তা পড়ে শােনানাে হয়, তখন বলে আমরা এর প্রতি ঈমান আনলাম। নিশ্চয়ই এটা সত্য বাণী, যা আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসেছে। আমরা তাে এর আগেও অনুগত ছিলাম।

اُتۡلُ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ مِنَ الۡکِتٰبِ وَاَقِمِ الصَّلٰوۃَ ؕ اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَالۡمُنۡکَرِ ؕ وَلَذِکۡرُ اللّٰہِ اَکۡبَرُ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تَصۡنَعُوۡنَ

(আল আনকাবুত-৪৫)
(হে নবী!) ওহীর মাধ্যমে তােমার প্রতি যে কিতাব নাযিল করা হয়েছে, তা তিলাওয়াত কর ও নামায কায়েম কর। নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর যিকিরই তাে সর্বাপেক্ষা বড় জিনিস। তােমরা যা-কিছু কর, আল্লাহ তা জানেন।

وَاِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِ اٰیٰتُنَا وَلّٰی مُسۡتَکۡبِرًا کَاَنۡ لَّمۡ یَسۡمَعۡہَا کَاَنَّ فِیۡۤ اُذُنَیۡہِ وَقۡرًا ۚ فَبَشِّرۡہُ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ

(লোকমান-৭)
এরূপ ব্যক্তির সামনে যখন আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে তা শুনতেই পায়নি, যেন তার কান দুটিতে বধিরতা আছে। সুতরাং তাকে এক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَتۡلُوۡنَ کِتٰبَ اللّٰہِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَاَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّعَلَانِیَۃً یَّرۡجُوۡنَ تِجَارَۃً لَّنۡ تَبُوۡرَ ۙ

(ফাতির-২৯)
যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।

وَاَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ۟ اَفَلَمۡ تَکُنۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَاسۡتَکۡبَرۡتُمۡ وَکُنۡتُمۡ قَوۡمًا مُّجۡرِمِیۡنَ

(আল জাসিয়াহ-৩১)
আর যারা কুফর অবলম্বন করেছিল, (তাদেরকে বলা হবে) তােমাদের সামনে কি আমার আয়াতসমত পড়া হত না? তা সত্ত্বেও তােমরা অহংকার করেছিলে এবং তােমরা ছিলে এক অপরাধী সম্প্রদায়।

মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিঃ

‘উসমান ইবনে ‘আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।”

সহীহুল বুখারী ৫০২৭, ৫০২৮, তিরমিযী ২৯০৭, ২৯০৮, আবূ দাউদ ১৪৫২, ইবনু মাজাহ ২১১, আহমাদ ৫০৭, ৪১৪, ৫০২, দারেমী ৩৩২৮

কুরআন হবে তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারীঃ

আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারী হিসাবে আগমন করবে।”

মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২, ২১৬৫৩, ২১৬৮১, ২১৭১০

নাওয়াস ইবনে সাম‘আন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “কুরআন ও ইহজগতে তার উপর আমলকারীদেরকে (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সূরা বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান তার আগে আগে থাকবে এবং তাদের পাঠকারীদের স্বপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে।

মুসলিম ৮০৫, তিরমিযী ২৮৮৩, আহমাদ ১৭১৮৫

কষ্ট করে কুরআন তেলাওয়াতকারীর ফযিলতঃ

‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরআনের হাফেয মহা সম্মানিত পুণ্যবান লিপিকার (ফেরেশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠে ‘ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দু’টি সওয়াব।”

সহীহুল বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮, তিরমিযী ২৯০৪, আবূ দাউদ ১৪৫৪, ইবনু মাজাহ ৩৭৭৯, আহমাদ ২৩৬৯১, ২৪১১৩, ২৪১৪৬, ২৪২৬৭, দারেমী ৩৩৬৮

কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ কোন জাতির উত্থান, পতন ঘটানঃ

উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ) দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটান এবং এরই দ্বারা (এর অবাধ্য) অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন।”

মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩৩, দারেমী ৩৩৬৫

দুই ব্যক্তির প্রতি ঈর্ষা পোষণ করা যায়ঃ

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দু’জনের ক্ষেত্রে ঈর্ষা করা সিদ্ধ। (১) যাকে আল্লাহ কুরআন (মুখস্থ করার শক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর (আলোকে) দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমল করে। (২) যাকে আল্লাহ তা‘আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে) দিন-রাত ব্যয় করে।”

সহীহুল বুখারী ৫০২৫, ৭৫২৯, মুসলিম ৮১৫, তিরমিযী ১৯৩৬, ইবনু মাজাহ ৪২০৯, আহমাদ ৪৫৩৬, ৪৯০৫, ৫৫৮৬, ৬১৩২, ৬৩৬৭

কুরআন তেলাওয়াতে প্রতি হরফে ১০টি নেকীঃ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজীদ)এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মীম একটি বর্ণ।” (অর্থাৎ তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মীম, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।)

তিরমিযী ২৯১০

কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জান্নাতে সর্বোচ্চে স্হান লাভ হবেঃ

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পবিত্র কুরআনের পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, ‘তুমি কুরআন করীম পড়তে থাক ও চড়তে থাক। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা, (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।”

আবূ দাউদ ১৪৬৪, তিরমিযী ২৯১৪, আহমাদ ৬৭৬০

কুরআন পড়ে যেনো ভুলে না যায় সেজন্য কুরআনের প্রতি যত্নবান হতে হবেঃ

আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এই কুরআনের প্রতি যত্ন নাও। (অর্থাৎ নিয়মিত পড়তে থাক ও তার চর্চা রাখ।) সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃত হয়ে) যায়।” (অর্থাৎ অতিশীঘ্র ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।)

মুসলিম ৭৯১, আহমাদ ১৯০৫২, ১৯১৮৬

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরআন-ওয়ালা হল বাঁধা উট-ওয়ালার মত। সে যদি তা বাঁধার পর তার যথারীতি দেখাশোনা করে, তাহলে বাঁধাই থাকবে। নচেৎ ঢিল দিলেই উট পালিয়ে যাবে।”

সহীহুল বুখারী ৫০৩১, মুসলিম ৭৮৯, নাসায়ী ৯৪২, ইবনু মাজাহ ৩৭৮৩, আহমাদ ৪৬৫১, ৪৭৪৫, ৪৮৩০, ৪৯০৪, ৫২৯৩, ৫৮৮৭, মুওয়াত্তা মালিক ৪৭৩

মধুরকন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবেঃ

বারা’ ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এশার নামাযে সূরা ‘ওয়াত্তীন অয্যাইতূন’ পড়তে শুনেছি। বস্তুতঃ আমি তাঁর চেয়ে মধুর কণ্ঠ আর কারো শুনিনি।”

সহীহুল বুখারী ৭৬৭, ৪৯৫২, ৭৫৪৬, মুসলিম ৪৬৪, তিরমিযী ৩১০, নাসায়ী ১০০০, ১০০১, আবূ দাউদ ১২২১, ইবনু মাজাহ ৮৩৫, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৬

আবূ লুবাবাহ বাশীর ইবনে আব্দুল মুনযির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিষ্ট স্বরে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের মধ্যে নয়।” (অর্থাৎ আমাদের ত্বরীকা ও নীতি-আদর্শ বহির্ভূত।)

আবূ দাউদ ১৪৭১

No comments