তালাকের পিছনের কথা!
বর্তমানে স্বামী স্ত্রীর মাঝে তালাকের সংখ্যা বেশী পরিমাণে বেড়ে গেছে! এর পিছনের কারণ হিসেবে আমি মনে করি, মেয়ের মা এবং বাবাই বেশী দায়ী। মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর বাবা মায়ের তদারকি বেশী বেড়ে যায়। আগের থেকে যেন মেয়ের প্রতি ভালোবাসা হাজার গুণ বৃদ্ধি পায়। অনেক মায়েরা মেয়েকে বারবার ফোন দিয়ে তার শশুরবাড়ীর কথা খুঁটে খুঁটে জানতে চায়! সবকিছু জানার পর ভিলেনের পাঠ নেয়।
অনেক মায়েরা আবার মেয়ের শশুরবাড়ীতে গোয়েন্দা পাঠায়। আসলে এটা কি মেয়ের প্রতি ভালোবাসা নাকি সর্বনাশা! এই সর্বনাশাকেই তারা মনে করে ভালোবাসা। মেয়ের প্রতি অতিরিক্ত কেয়ার দেখাতে গিয়ে মেয়ে লাই পেয়ে যায়, আর কথায় কথায় বলতে থাকে বাবার বাড়ী চলে যাবো। অবশেষে মেয়েকে দিয়ে শশুর শাশুড়ীকে আলাদা করায়। কখনো যদি আলাদা করতে না পারে তখন শুরু হয় ভিন্নভাবে প্রচেষ্টা।মেয়েকে বাবার বাড়ী বেড়ানোর নাম করে নিয়ে এসে আটকে দেয়। তারপর শুরু হয় কানপড়ানি। কানের মধ্যে বিষ ঢালতে ঢালতে কখন যেন নিজেই বিষনি হয়ে যায়। এরপর জামাইকে বিভিন্নভাবে হেনস্হা করতে থাকে। যত প্রকার দোষ আর অপবাদ আছে বেছাড়া স্বামীর প্রতি আরোপ করে।
স্বামী বেছাড়া সত্যিই নিরুপায়! না পারে ছাড়তে, না পারে ধরতে। দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে স্বামীর উপর স্ত্রীর টর্চার! মাইন্ড গেম! আর মেয়েগুলো এতোই গাধা! নিজের ভালো মন্দ বুজতে পারে না। ওদেরকে যেভাবে বোঝানো হয় ওরা সেভাবেই বোঝে। কারণ, সে বিশ্বাস করে এরাইতো আমার আপনজন তাই তারা কি আমার খারাপ চাইতে পারে! কিন্তু যখন বোঝে তখন বলে, ওর স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকবো।
এখন যে ছেলেগুলো একটু বেশী ধর্য্যশীল তারাতো দাঁতের উপর দাঁত কামড়ে মুখ বুজে স্ত্রীর সব অত্যাচার সহ্য করে নেয় পরিশেষে স্ত্রী সেই স্বামীর ধর্য্য ভাঙ্গতে না পেরে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে চলে যায়। আই মিন তালাক! আর যে ছেলেগুলোর ধর্য্য কম এদেরকে তারা বিভিন্নভাবে নাকানি চুবানি খাইয়ে পরিশেষে চৌদ্দ শিকের ভিতরে ভরে দেয়!
এখন বলুন, নাটেরগুরু কারা?
কারা পিছনে কলকাঠি নাড়ছে?
কথাগুলো খাঁটি ভেজাল নাই! বাস্তবসম্মত।
No comments